ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ব্যবহারের চেষ্টা করে ভূমিদস্যুরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ব্যবহারের চেষ্টা করে ভূমিদস্যুরা

সরকারি ভূমি দখলে ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে সরকারি জমিতে সাঁওতাল বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার (নভেম্বর ১৫) সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

ঢাকা: সরকারি ভূমি দখলে ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে সরকারি জমিতে সাঁওতাল বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার (নভেম্বর ১৫) সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিল্প মন্ত্রী বলেন, গোবিন্দগঞ্জে ভূমিদস্যুরা সাঁওতালদের ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করেছিলো। এখানে সাঁওতালরা ব্যবহৃত হচ্ছিল। যে স্থানে ওই ঘটনা ঘটে সেখানে এর আগে কোনো সাঁওতাল পল্লী ছিলো না। উল্লেখিত জমি ১৯৫৪ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিনি কলের জন্য আখ চাষে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ভূমি দস্যুরা সে জমি দখলের জন্য সাঁওতালদের ব্যবহার করে।

যারা সাঁওতালদের জন্য মায়াকান্না কাঁদছে, মানখানেক আগে তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি সাঁওতালদের বুঝিয়ে শুনিয়ে জমি ছেড়ে দিতে। এভাবে সরকারি জমি কেউ দখল নিতে পারে না। আমরা নিজেরাও তিন মাস ধরে তাদেরকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা প্রত্যেকবারই আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। চিনি কলের শ্রমিক এবং পুলিশ বারবার তাদের কাছে আহত হয়েছে। আমরা এই জমি দখল না নিলে ওই ভূমিদস্যুরা নিজেরাই পরবর্তীতে সাঁওতালদের তাড়িয়ে ওই জমির দখল নিতো।

শিল্প মন্ত্রী বলেন,  নাসির নগর, গোবিন্দগঞ্জ এবং রায়পুরের ঘটনা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। এরই মধ্যে সরকার এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য প্র্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে। নাসির নগরের ঘটনার সঙ্গে অন্য কোন মহলের যোগসাজস থাকার সম্ভাবনা আছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেননা , একটি মহল যেহেতু জঙ্গিবাদের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, তাই তারা সংখ্যালঘু আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে আমরা মনে করি।

আমু বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক আছে। দেশে যে জঙ্গিবাদ চর্চার চেষ্টা হয়েছিল, তা বিনষ্ট করা হয়েছে। সকল ইন্টার লিংক ধ্বংস করা হয়েছে। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ঘটতে দেওয়া হবে না। সকল সন্দেহভাজন পুলিশের নজরবন্দি আছে।

তিনি বলেন, নরসিংদীর রায়পুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। দোষীদের বিচার করা হবে।

শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ পুলিশের আইজিপি শহিদুল হক, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
আরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।