ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জেলায় জেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে এখনই ভাবতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
জেলায় জেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে এখনই ভাবতে হবে ছবি: জিএম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তার এলাকায় বন্যা-দুর্যোগের কথা তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের...

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তার এলাকায় বন্যা-দুর্যোগের কথা তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রতিবছর বন্যায় শত শত মানুষ বাস্তুহারা হচ্ছেন। বাস্তুহারা হয়ে ঢাকায়, গাজীপুরে এসে রিকশা চালাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
 
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে ‘প্যারিস থেকে মারাক্কাশ, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন: আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।

সার্ক এনভায়রনমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র। প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার। বিশেষ অতিথি বিরোধীদলীয় হুইপ মো. ফখরুল ইমাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। সিনিয়র সাংবাদিক রাহুল রাহার সঞ্চালনায় কনভেনশনে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, বাংলাদেশ ট্রাস্টের কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়।
 
আলোচনায় অংশ নেন সিপিআরডির নির্বাহী পরিচালক মো. শামছুদ্দোহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এবং ফোরামের মহাসচিব এ বি রাজ্জাক, সহ-সভাপতি নজমুল হক সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান রহমান।

কারো নাম উল্লেখ না করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণে কিছু সুবিধাভোগী লোক দায়ী। এখন এই সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কি বাঞ্চনীয় নয়? এসব বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে একটি দল আরেক দলের প্রতিপক্ষ নয়, শত্রু নয়। তাই আমি অনুরোধ করবো শত্রুতা না করে ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে হবে।
 
ফখরুল ইমাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা মোটেও দায়ী নই। তারপরেও আমরা ক্ষতির মধ্যে আছি। জলবায়ু সম্মেলনে যে ক্ষতিপূরণের কথা বলা হচ্ছে সেটি পাবো বলে মনে হয় না। তাই বিদেশের দিকে তাকিয়ে না থেকে আমরা কীভাবে এই ক্ষতি মোকাবেলা করতে পারি সেদিকে নজর দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে প্যারিস চুক্তির আলোকে গণঅংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ২০১৮ সালের মধ্যে জাতীয়ভাবে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান তৈরির আহ্বান জানানো হয়।

আরও বলা হয়, ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’ থেকে যে সরাসরি সহায়তা প্রাপ্তিতে অবিলম্বে ন্যাশনাল ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি (এনআইএ) গঠনে জাতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।