ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধজাহাজ দেখতে সদরঘাটে মানুষের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
যুদ্ধজাহাজ দেখতে সদরঘাটে মানুষের ভিড় ছবি: কাশেম হারুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যুদ্ধজাহাজ দেখতে কেমন? কী রয়েছে ওই জাহাজে? এর আগে টেলিভিশনের পর্দায় দেখলেও যারা বাস্তবে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি, তারা ভিড় জমান রাজধানীর সদরঘাটে।

ঢাকা: যুদ্ধজাহাজ দেখতে কেমন? কী রয়েছে ওই জাহাজে? এর আগে টেলিভিশনের পর্দায় দেখলেও যারা বাস্তবে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি, তারা ভিড় জমান রাজধানীর সদরঘাটে।

 

 
সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সদরঘাটে প্রদর্শিত হয় নৌ-বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বা নৌ জা অদম্য।

দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল সেটি।
 
আর এ জাহাজ দেখতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন প্রবেশপথে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তিন ধাপ তল্লাশি শেষে অনেক আগ্রহ নিয়েই প্রবেশ করেছেন তারা।
 
প্রত্যেকে উঠেছেন যুদ্ধজাহাজে, জাহাজের অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। নৌ-বাহিনীর সদস্যরাও দর্শনার্থীদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন হাসিমুখে। অনেক কাছ থেকে যুদ্ধজাহাজ দেখে তৃপ্তি নিয়েই বের হয়েছেন সবাই।
 
জাহাজ দেখতে আসা কাপড়ের ব্যবসায়ী নূর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ বাহিনীটা আমাদের দেশের। কিন্তু সচরাচর তাদেরকে দেখার সুযোগ থাকে না। এবার কাছ থেকে নৌ-বাহিনীর সদস্যদের দেখলাম। যুদ্ধজাহাজও দেখলাম। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে’।
 
অদম্য সম্পর্কে নৌ-বাহিনীর সদস্য আতিকুর জানান, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫০.৫ মিটার, প্রস্থ ৭.৫ মিটার। এর মধ্যে ৬টি বন্দুক আছে। যেগুলো দিয়ে জলপথে অন্য জাহাজে ও আকাশপথে যাওয়া বিমানে আক্রমণ করা সম্ভব। ‘লাইফ র্যাফট’ নামের ৫টি বোটও সংরক্ষিত আছে জাহাজে। যার প্রত্যেকটিতে ২৫ জন করে পানিতে ভেসে থাকতে পারবেন। এগুলোর প্রত্যেকটিতে সাতদিনের খাবারও মজুদ করা আছে।
 
জাহাজের সামনেই একটি বন্দুক (গান) বসানো আছে। নৌ-বাহিনীর সদস্য নাজমুল এর সম্পর্কে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, এটি ৩৭ এমএম গান। এটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ হাজার গজ (৪৫ ক্যাবল) দূর পর্যন্ত আঘাত করা সম্ভব।
 
জাহাজ দেখতে আসা তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সজীব বাংলানিউজকে বলে, ‘শুনলাম, এ জাহাজটি দিয়ে যুদ্ধ করে। আগে কখনো দেখিনি। আজ দেখে ভালো লাগছে’।
 
ষাটোর্ধ্ব ব্যবসায়ী সোলেমান মিয়া বলেন, ‘নৌ-বাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্রগুলো সম্পর্কে জানলাম। আগে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। আজ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দেখতে পারলাম। এগুলো আমাদের দেশের সম্পদ’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
পিএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।