ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধান কাটার সিদ্ধান্ত নেয়নি সাঁওতালরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
ধান কাটার সিদ্ধান্ত নেয়নি সাঁওতালরা ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় সাঁওতালদের আবাদকৃত জমির পাকা আমন ধান কাটার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি সাঁওতালরা।

গাইবান্ধা: রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় সাঁওতালদের আবাদকৃত জমির পাকা আমন ধান কাটার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি সাঁওতালরা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম ও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল সাঁওতালপল্লীর লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় সাঁওতালরা ধান কাটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানিয়ে দেবেন বলে তাদের জানান।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্ট থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ধান কাটার নির্দেশে প্রশাসন ও রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু সাঁওতালরা মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ধান কাটার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রশাসন ও চিনিকল কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।

রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল জানান, খামারের ৪৫ দশমিক ৫ একর জমিতে সাঁওতালরা ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে ৩০ একর জমির ধান কাটার  উপযোগী হয়েছে। এ বিষয়ে সাঁওতালরা সিদ্ধান্ত নিলেই ধান কাটা শুরু হবে।

তিনি বলেন, যদি সাঁওতালরা ধান না কাটতে চায় তাহলে মিলের শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তারা ধান নিতে না চাইলে ধান গুদামে রেখে আদালতকে জানানো হবে।

সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম আদিবাসী ভূমি উদ্ধার কমিটির সহ সভাপতি ফিলিমন বাসক বলেন, এসব জমিতে কোনো সাঁওতাল এককভাবে ধান চাষ করেনি। কমিটির নামে সংঘবদ্ধভাবে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধান কাটা হবে। তবে ধান কাটার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া অনেক জমির ধান পাকেনি। ধান কাটার বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হলে মিল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানানো হবে।  

এরআগে, সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ নিয়ে সাঁওতালপল্লীতে যান। ত‍ারা জমি থেকে ধান কেটে আনা ও যেসব জমিতে পানি দেওয়া দরকার সেসব জমিতে পানি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এ সময় সাঁওতাল নেতারা তাদের জানান, জমিতে সম্মিলিতভাবে ধান চাষ করা হয়েছে। তাই কিভাবে ধান কাটবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।