ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিমান ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’কে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
বিমান ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’কে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’কে মর্যাদাপূর্ণ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘাঁটিটির প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন।

ঢাকা: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’কে মর্যাদাপূর্ণ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়েছে।
 
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘাঁটিটির প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন।


 
এর আগে, বেলা ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার কমোডর মফিদুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।
 
এ সময় বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এরপর শেখ হাসিনা খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
 
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেন। স্ট্যান্ডার্ড প্রদানের পর এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনে জাতীয় পতাকাসহ একটি হেলিকপ্টার পাস করে।
 
ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সমুন্নত রাখার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট পরিচালনা করা হয়।  
ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদানকালে ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘাঁটি প্রাঙ্গণে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন রেজা এমদাদ খান।  
 
‘বঙ্গবন্ধু’ বাংলাদেশের প্রধান অপারেশনাল বিমান ঘাঁটি। যা হোম অব ফাইটার্স নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সর্ববৃহৎ যুদ্ধ বিমান ঘাঁটি।
 
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষায় এ ঘাঁটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। শান্তিকালীন সময়ে এ ঘাঁটি থেকে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে এ ঘাঁটির পারদর্শিতা বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত ও প্রশংসিত হয়েছে।  
 
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম অনুসারে ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ জনবল এবং সরঞ্জামসহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু আত্মপ্রকাশ করেছিলো।
 
অনুষ্ঠানে ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’র ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ঘাঁটিটি মিত্র বাহিনীর বিমান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার নির্দেশে এ ঘাঁটির পুনর্গঠন ও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।  
“বিমান বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের জন্য এ ঘাঁটিতে ক্যাডেটস ট্রেনিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা পরবর্তীতে বিমান বাহিনী একাডেমি হিসেবে যশোরে স্থানান্তরিত হয়। ”
 
ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’র সক্ষমতা ও সফলতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘাঁটি সফল উড্ডয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অপারেশনাল ফাইটার পাইলট তৈরি করেছে। যা আগামীতে বাংলার আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করবে।
 
তিনি বলেন, এ ঘাঁটিতে অবস্থিত ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলোর অপারেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অত্যাধুনিক ও আর্ন্তজাতিক মানের। আকাশ যুদ্ধে সুসজ্জিত এই বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি বাংলাদেশের আকাশসীমাকে শত্রুমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এমইউএম/এইচএ/

** বাংলাদেশের বিমান বাহিনী এখন অনেক শক্তিশালী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।