ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাথর কুড়িয়ে চলে তাদের জীবন

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
পাথর কুড়িয়ে চলে তাদের জীবন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সকাল থেকেই নদী কিংবা চর, সব জায়গাতেই চলে পাথর সংগ্রহের কাজ। সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের স্বচ্ছ পিয়াইনের জলে ভেসে আসা পাথর সংগ্রহ করে চলে কিছু মানুষের জীবন।

সিলেট (জাফলং) থেকে ফিরে: সকাল থেকেই নদী কিংবা চর, সব জায়গাতেই চলে পাথর সংগ্রহের কাজ। সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের স্বচ্ছ পিয়াইনের জলে ভেসে আসা পাথর সংগ্রহ করে চলে কিছু মানুষের জীবন।

হয়তো এটাই কারোরও প্রধান জীবিকা। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত এভাবে পাথর কুড়িয়ে বিক্রি করে ঘুরে তাদের সংসারের চাকা। যেনো পাথর কুড়ানোটাই তাদের জীবন।

সম্প্রতি জাফলং ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। প্রতি সকালেই ভোরে সূয্যিমামা উঁকি দেওয়ার আগে ২৫-৩০ ফুট লম্বা নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পাথর কুড়ানো মানুষগুলো।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত পিয়াইন নদীর গভীর কিংবা চর থেকে ডুব দিয়ে পাথর তুলে তা নৌকায় করে তীরে আনা হয়।

পরে তা বিক্রি করা হয় স্থানীয় বল্লাঘাটে বেপারীর কাছে। প্রতি নৌকা পাথর বিক্রি হয় এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দরে।

পাথর কুড়িয়ে তাদের দৈনিক আয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এ টাকা দিয়েই চলে সংসার। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক খরচ।

দিনভর পাথর সংগ্রহ আর বোঝাইয়ের পরও তাদের চোখে-মুখে কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই।

পাথর কুড়িয়ে ঘুরাতে হয় তাদের সংসারের চাকা। এসব পাথর ক্র্যাশার মেশিনে ছোট ছোট করে ভেঙে বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ক্রেতাদের কাছে।

পাথর কুড়িয়েই সংসার চলে হাফিজুর রহমানের (২৬)। বললেন, নদী ও এর আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট-বড় পাথর সংগ্রহ করে নৌকায় ভরে মহাজনের কাছে বিক্রি করা হয়।
 
‘বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতি নৌকা পাথর বিক্রি করি। পাথর বুঝে এর দামেও তারতম্য হয়ে থাকে। ’

তিনি বলেন, কখনও দুই হাজার টাকা দরে আবার কোনো এক সময়ে এক হাজার বা ১২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। পাথর কুড়িয়েই সংসার চালাতে হয়। সারাবছর এ কাজই করি আমরা।

একই কথা জানালেন নয়ন মিয়া (৩৪)  নামে আরেক পাথর শ্রমিক।

তিনি জানান, নৌকা বোঝাই পাথর মহাজনদের কাছে বিক্রি করা হয়। মহাজনরা আবার ট্রাক বোঝাই করে সেগুলো নিয়ে যায় বিভিন্ন পাথর ভাঙানোর কারখানায়।

‘হারা বছর এই কামই (কাজ) করি। এইডা ছাড়া আর কিছু করি না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০১৬
আরএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।