ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘মোটা চালের উৎপাদন কম, দাম বেশি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
‘মোটা চালের উৎপাদন কম, দাম বেশি’

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগে মোটা চালের চাহিদা ছিল। এখন মোটা চালের চাহিদা নাই। কৃষকও মোটা চাল উৎপাদন করে না তাই বাজারে মোটা চালের দাম একটু বেশি।

সংসদ ভবন থেকে: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগে মোটা চালের চাহিদা ছিল। এখন মোটা চালের চাহিদা নাই।

কৃষকও মোটা চাল উৎপাদন করে না তাই বাজারে মোটা চালের দাম একটু বেশি।

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজবাড়ী-১  আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

কাজী কেরামত আলী মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, সারাদেশে ১০ টাকা দরে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তারপরও বাজারে হঠাৎ করে কেন চালের দাম বৃদ্ধি পেল?

জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন,  বাজারে মোটা চালের দাম একটু বেড়েছে। আসলে মোটা চাল এখন উৎপ‍াদন হয় খুব কম। আগে যেমন মোটা চালে মানুষের চাহিদা ছিল। এখন মোটা চালের চাহিদা নাই। কৃষকও মোটা চাল উৎপন্ন করে না। তাই মোটা চালের দামটাই একটু বেশি। তবে এ মুহূর্তে আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে তাতে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল আছে।

তিনি বলেন, আমরা তিন লাখ মেট্রিক টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আশা করছি আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।

পঞ্চানন বিশ্বাসের অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আজ খাদ্যে উদ্ধৃত আছে। ১৯৯৬ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি খাদ্য ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্ধৃত রেখে এসেছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন আমরা আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়েছিলাম। এখন আবার আমরা খাদ্যে উদ্ধৃত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা বছরে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন খাদ্য রপ্তানি করার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছি।

স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়েও বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের মোট উদ্বৃত্ত প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। চালের উদ্বৃত্ত প্রায় ২৭ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। তবে চাহিদার বিপরীতে গমের ঘাটতি প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন।

কামরুল ইসলাম জানান, দেশে ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি ৯১ লাখ। বিআইডিএসের সমীক্ষা-২০১২ অনুযায়ী চালের জনপ্রতি দৈনিক চাহিদা প্রায় ৪৬২ গ্রাম ও গমের চাহিদা প্রায় ৪৬ দশমিক ২১ গ্রাম। সে হিসেবে মোট খাদ্যশস্যের চাহিদা প্রায় ২৯৩ (চাল ও গম) লাখ মেট্রিক টন। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে খাদ্যশস্যের (চাল ও গম) নীতি উৎপাদন ৩০৭ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিক টন। ওই হিসাব অনুযায়ী চালের উদ্বৃত্ত প্রায় ২৭ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে গমের ঘাটতি প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ খাদ্যশস্যের মোট উদ্বৃত্ত প্রায় ১২ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন।

সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বিগত অর্থবছরে খাদ্য মন্ত্রণালয় কোনো নিকৃষ্ট মানের গম আমদানি করেনি। চুক্তিপত্রের নির্দেশ মোতাবেক মান সম্পন্ন গম আমদানি করা হয়েছে। বিদেশ হতে আমদানিতব্য গম বন্দরে পৌঁছার পর জাহাজ হতে গমের নমুনা সংগ্রহ করে খাদ্য অধিদফতরের ল্যাবে বিশ্লেষণ করে চুক্তিপত্রের নির্দেশ মোতাবেক পাওয়া গেলেই কেবল তা গ্রহণ করা হয়। নির্দেশ মোতাবেক পাওয়া না গেলে আগত জাহাজের গম বাতিল করে ফেরত দেওয়া হয়।

** ‘হুন্ডি ব্যবসা জমজমাট রূপ নিয়েছে’
** ৮ বছরে ৩৬ লাখ কর্মীকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে
** গৃহকর্মীর একাংশ প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।