ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

'জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় তরুণদের যুক্ত করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
'জাতীয় সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় তরুণদের যুক্ত করতে হবে’

দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী তরুণ হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করা হয় না। যে কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তরুণরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখাতে পারছে না।

ঢাকা: দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী তরুণ হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করা হয় না। যে কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তরুণরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখাতে পারছে না।

দেশের উন্নয়ন বা আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনে তরুণদের সংযুক্ত করতেই হবে। তা না হলে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া ও তরুণদের জীবনে পরিবর্তন’ বিষয়ক আলোচনায় এ কথা বলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ, গবেষক ও উন্নয়নকর্মীরা।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ফায়ারস্টার্টার ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের আওতায় অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, নেতৃত্বের বিকাশ, নীতি পরিবর্তনে যুক্ত হওয়াসহ নানা কাজ করছে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় দু’দিনব্যাপী যুবা আলোচনার আয়োজন করে। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তরুণ নেতৃত্বের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূলত ‘যুব অগ্রাধিকারের মাধ্যমে এসডিজির সঙ্গে অর্থবহ সংযোগ’ বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী এখন তরুণ। তাদের বিষয়ে যখন কোনো সিদ্ধান্ত হয় তখন তরুণদের যুক্ত করা হয় না। বাল্যবিয়ে রোধে হতে যাওয়া আইনটি যুবাদের জন্য করা হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের রাখা হয়নি। এর চেয়ে বড় কথা হলো, তৃণমূলের মানুষ সুযোগ-সুবিধা পায় না। তরুণরা সেক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে’।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশন ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে যুবদের কার্যক্রম’ নিয়ে কথা বলেন নিজেরাই করি-এর সমন্বয়ক খুশি কবির।

তিনি বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধে যে আইনটির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে আমরা শংকিত। আইনে পুরুষের ২১ নারীদের ১৮ বছর বলা হলেও কিছু প্রভিশন রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ রাজি থাকলে বিয়ে হতে পরে। যে ধারা আইনটির অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের তরুণরাই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।