ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৌদিতে নিপীড়িত নারী কর্মীদের আশ্রয় দিতে ‘গেস্ট হাউজ’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
সৌদিতে নিপীড়িত নারী কর্মীদের আশ্রয় দিতে ‘গেস্ট হাউজ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সৌদি আরব সরকার সেদেশে নিপীড়িত নারী অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন মহল্লায় ‘গেস্ট হাউজ’ তৈরি করছে। এসব গেস্ট হাউজে ওই নারী কর্মীরা কোনো প্রকার সমস্যায় পড়লে বা নির্যাতনের শিকার হলে ১৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

ঢাকা: সৌদি আরব সরকার সেদেশে নিপীড়িত নারী অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন মহল্লায় ‘গেস্ট হাউজ’ তৈরি করছে। এসব গেস্ট হাউজে ওই নারী কর্মীরা কোনো প্রকার সমস্যায় পড়লে বা নির্যাতনের শিকার হলে ১৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

পরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্মীর মালিকের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে। সমাধান না হলে কর্মী নতুন করে কোনো মালিকের অধীনে কর্মসংস্থান নিয়ে চলে যেতে পারবে।
 
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান সৌদি সরকারের  শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের গ্রাহক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আদনান আবদুল্লাহ আল নুয়াইম।

রাজধানীতে চলমান অভিবাসন বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (জিএফএমডি) এ অংশগ্রহণের ফাঁকে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি করেন নুয়াইম। তিনি সম্মেলনে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
 
সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, অন্য সব দেশের অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশি নারী কর্মীদের জন্যও এটা অত্যন্ত ভালো খবর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নুরুল ইসলাম বিএসসি ও আল নুয়াইমের মধ্যকার বৈঠকে সৌদিতে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে ভিসা ইস্যু বিলম্ব, ভিসা ট্রেডিং বন্ধ, কর্মীদের মরদেহ বিলম্বে দেশে আসা ও মৃত কর্মীদের ক্ষতিপূরণসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে কথা বলেন দুই মন্ত্রী।  

নুরুল ইসলাম বিএসসিকে সৌদি উপমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে সৌদি সরকার কাজ করছে। অভিবাসন খরচ কমানোর জন্য ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করার পক্ষেও মত দেন তিনি।  

আল নুয়াইম সাফ জানিয়ে দেন, ভিসা ট্রেডিংয়ের (জনশক্তি রফতানি ব্যবসা) সঙ্গে কোনো সৌদি নাগরিক যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, সৌদি আরবে অবস্থানরত কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা দ্রুত পরিশোধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসময় বাংলাদেশি কর্মীদের নানাবিধ সমস্যা ও তা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়।  
  
বৈঠকের শুরুতেই প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে সব খাতে অধিক পরিমাণ কর্মী নেওয়ার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে দক্ষ কর্মী আরও বেশি করে নেওয়ার জন্য সেদেশের সরকারকে অনুরোধ জানান।  

বৈঠকে  প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নারায়ণ চন্দ্র বর্মা, যুগ্ম-সচিব মো. বদরুল আরেফিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. মোহসিন চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব মোশাররফ হোসেন এবং  উপ-সচিব আবুল হাসনাত হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
জেপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।