ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লাল-সবুজের পতাকায় মাতোয়ারা সবাই

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
লাল-সবুজের পতাকায় মাতোয়ারা সবাই ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মোটরসাইকেলের সামনে বসে আছে একটি ফুটফুটে শিশু। ঠিক পেছনেই রয়েছেন তার বাবা গোলাম মোস্তফা, পাশেই মা সাবিনা ইয়াসমিন দাঁড়িয়ে আছেন।

বগুড়া:মোটরসাইকেলের সামনে বসে আছে একটি ফুটফুটে শিশু। ঠিক পেছনেই রয়েছেন তার বাবা গোলাম মোস্তফা, পাশেই মা সাবিনা ইয়াসমিন দাঁড়িয়ে আছেন।

শিশুটির চাওয়া পূরণ করতে এই দম্পতি ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতা আমজাদের কাছ থেকে একটি জাতীয় পতাকা কেনেন। লাল-সবুজ পতাকাটি মোটরসাইকেলের সামনে বেঁধে ছুটে যান তারা গন্তব্যের উদ্দেশে। বগুড়া শহরের নিউমার্কেটসহ আশপাশের একাধিক দোকান ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জাতীয় পতাকা বেচা-কেনার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাতোয়ারা এখন সবাই। বসে নেই পতাকা বিক্রেতা, নির্মাতারা।

পতাকা নিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা ছুটছেন শহর থেকে গ্রামান্তরে। হাটবাজার ও মহল্লায় ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। শহরের দোকানগুলোয় স্থায়ী ও মৌসুমী দর্জিরা জাতীয় পতাকা তৈরিতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। শহরের সাতমাথায় জাতীয় পাতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানি হোসেন আলী। পাইপের খুঁটির ফাঁকে ফাঁকে লাগিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন অসংখ্য পতাকা। ক্রেতা আসছেন পছন্দ করছেন আর পতাকাগুলো কিনছেন বলেও জানান ওই দোকানি।

ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতা আমজাদ বাংলানিউজকে জানান, লাঠির মাথায় বেঁধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শহর ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। তুলনামূলক স্বল্প আয়ের মানুষ তার কাছ থেকে পতাকা কিনে থাকেন বলেও জানান তিনি।

শহরের নিউমার্কেটের কয়েকটি দর্জি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তারা জাতীয় পতাকা তৈরিতে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশির ভাগ দোকানি অর্ডার ভিত্তিক এসব পতাকা তৈরি করেন। দর্জি আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, হাতে সময় নেই বললেই চলে। মহান বিজয়ের দিনটি কাছাকাছি এসে পড়েছে। তাই নতুন করে কোনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। আগের নেওয়া অর্ডারের পতাকাগুলো তৈরিতেই দিনরাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬

এমবিএইচ/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।