ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘আমলাতন্ত্রের পরিবর্তে জনগণের খাদেম হোন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
‘আমলাতন্ত্রের পরিবর্তে জনগণের খাদেম হোন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নিজেদেরকে জনগণের খাদেম হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নিজেদেরকে জনগণের খাদেম হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির ৯৮তম ও ৯৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।



রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি অডিটোরিয়ামে কোর্সে উত্তীর্ণদের সনদ বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি থেকে বলেন, ‘সরকারের কর্মচারীদের জনগণের সেবায় উৎসর্গ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে’।
 
‘অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে’।
 
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। গতানুগতিক ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে’।
 
‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি, সেই উদ্ভাবনী চিন্তা আমাদের মধ্যে থাকতে হবে’।
 
সরকার ইনোভেশন টিম গঠন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উদ্ভাবন করবেন, কিভাবে মানুষকে সহজে ভোগান্তি ছাড়া সেবা দেওয়া যায়।
 
নবীণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব উদ্ভাবনী চিন্তা দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করবেন’।
 
‘যখন যে এলাকায় কাজ করবেন, সে এলাকাকে নিজের এলাকা মনে করে কাজ করবেন’।
 
প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশকে গড়ে তুলতে যারা মাঠে-ময়দানে সত্যিকার অর্থে কাজ করবেন, তাদের প্রশিক্ষণ একান্তভাবে প্রয়োজন’।
 
‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে’।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজস্ব সম্পদ দিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সে সক্ষমতা আমাদের আছে। এ আত্মবিশ্বাস সকলের মাঝে থাকতে হবে’।
 
শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষাই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে একটি দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায়’।
 
 
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি সমস্যা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, ‘নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ। যে করেই হোক বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতেই হবে’।
 
‘সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে, যেন কখনোই বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে’।
 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক।
 
স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির রেক্টর ড. এম আসলাম আলম।
 
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে রেক্টর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ৯৮তম কোর্সের মোহাম্মদ সোহাগ হাওলাদার ও ৯৯তম কোর্সের মোহাম্মদ নাহিদুল করিম তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এমইউএম/এএসআর

**
আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ সরকারি দায়িত্ব পালন এগিয়ে নেবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।