ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জঙ্গি আফিফের মরদেহ এখনও মেঝেতে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
জঙ্গি আফিফের মরদেহ এখনও মেঝেতে জঙ্গি আফিফের মরদেহ এখনও মেঝেতে পড়ে, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর দক্ষিণখান আশকোনার সূর্য বাড়ির জঙ্গি আস্তানার মেঝেতে এখনও কিশোর জঙ্গি আফিফ কাদেরী আরিফের (১৪) মরদেহ পড়ে...

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখান আশকোনার সূর্য বাড়ির জঙ্গি আস্তানার মেঝেতে এখনও কিশোর জঙ্গি আফিফ কাদেরী আরিফের (১৪) মরদেহ পড়ে রয়েছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অভিযান শুরু হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (উত্তর) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেছেন, ওই বাসা থেকে সবরকম গ্যাস বের করে ফেলা হয়েছে। এখন আশা করা যায় দ্রুত অভিযান শেষ করা যাবে।

এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার বলেছিলেন, ভেতরে ৫টি গ্রেনেডের মধ্যে ২টির অবস্থা বিপজ্জনক। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে না এলে এগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাচ্ছে না।
জঙ্গি আফিফের মরদেহ এখনও মেঝেতে পড়ে/ছবি-বাংলানিউজবোম ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান সহকারী উপ-কমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিছানা ও ড্রেসিং টেবিলের কাছে বিপজ্জনক অবস্থায় দুইটি গ্রেনেড রয়েছে। এছাড়া রান্নাঘরের তাকেও গ্রেনেড দেখা গেছে। পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয় যে, কোনো বিস্ফোরণ ছক সেই ঘরে জঙ্গিরা এঁকে রেখেছে কিনা।

বোম আর গ্রেনেডগুলো উদ্ধার হলেই সেখানে পড়ে থাকা কিশোর জঙ্গি আফিফের মরদেহ তুলে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ‘রিবল২৪’ জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো সেই নারীর মৃত্যু পেট ফেটে হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে জানা গেছে। তার পেটে বেঁধে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি মারা যান বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।  

আরও পড়ুন:

** জঙ্গি আস্তানায় ৫ গ্রেনেড, ২ ভেস্টসহ আরও বোমের শঙ্কা
** গ্রেনেড ফাটিয়েই নারী জঙ্গির আত্মঘাতী মৃত্যু
** সোয়াট-সিআইডি-বোম ডিসপোজালের সমন্বিত কাজ সূর্য বাড়িতে
** ‘রিপল২৪’ অভিযানে নিহত ২, আত্মসমর্পণ ৪ জঙ্গির

** সূর্য বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় সিআইডির তদন্ত

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬/আপডেট ১৪৩২
এমইউএম/পিএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।