এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, ছাত্রলীগ নেতা প্রসেনজিৎ নাগ, নুরুল আনসার পাভেল, হযরত আলী ইমন, শুভ নাথ, সোহাগ মির্জা, নাজমুল হোসেন হীরা ও ইটনা উপজেলার এলংজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রোকেল প্রমুখ।
এছাড়া অষ্টগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারাও কেক কেটে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদযাপন করেন।
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। তার বাবা মো. তায়েব উদ্দিন ও মা মোছা. তমিজা খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সাল, ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার মধ্যদিয়ে। ১৯৬১ সালে কলেজের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি যোগ দেন স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। তখন তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন তিনি।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।
সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসাবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ।
আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন। আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
জিপি/এইচএ