ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয়ের অনুষ্ঠানে না ‍আসায় ১২ কর্মকর্তাকে ওয়ার্নিং নোটিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
বিজয়ের অনুষ্ঠানে না ‍আসায় ১২ কর্মকর্তাকে ওয়ার্নিং নোটিশ

নাটোর: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে এমন অভিযোগে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ১২ কর্মকর্তাকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

একইসঙ্গে নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) নাসরিন বানু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে এ সংক্রান্ত নোটিশ সংশ্লিষ্ট ওই ১২ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও অফিস ও নোটিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাগাতিপাড়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

এতে ওই ১২ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্যারেড মাঠেও অনুপস্থিত ছিলেন। পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে এসব কর্মকর্তা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে বিরত থেকেছেন এবং তা জাতির জন্য খুবই অবমাননাকর এমন অভিযোগ আনা হয়েছে ওই নোটিশে। তাই নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০ ডিসেম্বর ইউএনও নাসরিন বানু এসব নোটিশে স্বাক্ষর করলেও রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত ১২ কর্মকর্তারা হলেন-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহাদ আলী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডল, প্রকল্প কর্মকর্তা (পজেপ) আনোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন, সমবায় কর্মকর্তা আকরাম হোসেন, জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার, দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বন কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার রুহুল কুদ্দুস রুহী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তার প্রতিনিধি হিসেবে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাসেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতির কারণ বা বিষয়টি ইউএনও ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে আগেই অবহিত করেছিলেন। তবে তিনি কারণ দর্শানোর কোনো চিঠি বা নোটিশ এখনও হাতে পাননি বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বাংলানিউজকে বলেন, বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এসব কর্মকর্তার অনুপস্থিতি দুঃখজনক।

তারা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ না করে শহীদদের প্রতি অবমাননা করেছেন, যা জাতির জন্যও অবমাননাকর। তাই তাদের সর্তক করতে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।