জানা যায়, রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভারারিয়া গ্রামের প্রবাসী মিশুক রানার স্ত্রী মাকসুদা (২৪) বালিরটেক একতা ক্লিনিকে যান। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সব ঠিক আছে বলে তার অস্ত্রোপচার করেন ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হাসান।
কিন্তু ওই প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের অসাবধানতায় কাঁচির আঘাতে নবজাতকের মাথায় ক্ষত হয়। বিষয়টি টের পেয়েও নবজাতকের মাথায় সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে চিকিৎসক দ্রুত সটকে পড়েন।
কিন্তু রক্তক্ষরণে শিশুটির অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক বলেন ঠাণ্ডার কারণে এমনটা হচ্ছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সোমবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায় শিশুটি।
মৃত নবজাতকের মামা রাসেল বলেন, মৃত্যুকে মেনে নিয়ে শিশুটিকে আমরা বাড়ি নিয়ে যাই। কিন্তু গোসল করানোর সময় শিশুর মাথায় সেলাই ও ক্ষতচিহ্ন দেখে বুঝতে পারি চিকিৎসকের ভুলে কাঁচির আঘাতে শিশুটি মারা গেছে।
‘মৃত্যুর পর গোসলের সময় মাথায় সেলাই ও ক্ষতচিহ্ন দেখে নবজাতককে পুনরায় ক্লিনিকে নিয়ে আসি। ’
এ বিষয়ে ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের সময় তাদের কোনো কাগজপত্র রাখা হয়নি। ডা. মো. নাজমুল হাসান এই অপারেশন করেছেন। তিনি অপারেশনের ডাক্তার কিনা আমি তাও জানি না। ’
তবে বারবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্তব হয়নি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বাংলানিউজকে জানান, নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএ