ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিকাশে হুন্ডির অর্থ লেনদেনের নির্দিষ্ট 'হিসাব নেই'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৮
বিকাশে হুন্ডির অর্থ লেনদেনের নির্দিষ্ট 'হিসাব নেই' সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। তবে কি পরিমাণ অর্থের লেনদেন হচ্ছে তার নির্দিষ্ট হিসাব নেই বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (০৩ জানুয়ারি) হুন্ডির অর্থ লেনদেনকারী বিকাশের ৭ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম। গ্রেফতারকৃতরা এ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেনের প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর মো. মান্নান (৩০), পাবনার সংগীত কুমার পাল (৪৫), জামিনুল হক (৩৮), মোজাম্মেল মোল্লা (৩৩), হোসেন আলী (৪৫), চট্টগ্রামের দিদারুল হক (৩১), ময়মনসিংহের আবু বকর সিদ্দিক। এছাড়া আসামিদের মধ্যে পাবনার মনোয়ার হোসেন মিন্টু (২৯) পলাতক রয়েছেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকাশে ব্যবহৃত মোবাইল এবং রেজিস্টার খাতা জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রেমিটেন্স কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে সিআইডি জানতে পারে একটি চক্র রেমিটেন্স কমে যাওয়ার পেছনে কাজ করছে।

এই চক্রটি অবৈধ হুন্ডি তৎপরতার মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ কমিয়ে দিচ্ছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, চক্রের সদস্যরা বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে দেশ থেকে স্থানীয়ভাবে ওই অর্থ পরিশোধ করছে। তারা বৈধভাবে দেশে টাকা আসতে দিচ্ছে না। আর অর্থ দেওয়ার জন্য তারা বিকাশের হিসাব ব্যবহার করছে।

এই চক্রের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আটজন বিকাশ এজেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে সিআইডি। মামলার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে সাতজন বিকাশ এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, এই বিকাশ এজেন্টরা কী পরিমাণ অর্থের লেনদেন করেছে তার নির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে কয়েককোটি টাকার লেনদেন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। একজনের বিকাশ একাউন্টে মিনিটে ৬০টি ক্যাশ ইনের প্রমাণও মিলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
পিএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।