বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত রিমান্ড না মুঞ্জুর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ধনাবড়ী পৌর শহরে চারলাষ চৌরাস্তা এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৮), ধনবাড়ী বাজার এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মাজহারুল হক (২৫) ও বন্দ টাকুরিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে মো. জালু মিয়া ওরফে জালু ড্রাইবার (৪৫)।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে ২২ ধারায় জাবানবন্দি দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হান্নান ও পিএসআই ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (০৭ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর ওই স্কুলছাত্রীকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ও সাজেশন দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ধনবাড়ী বাগান বাড়ি লিচু বাগান ছাত্রাবাসে তার সহপাঠীসহ ১১ জন রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে মেয়েটি বাসায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালী কতিপয় মাতবর ঘটনাটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে বুধবার পুলিশ পাহারায় ধনবাড়ী থানায় গিয়ে নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটানায় তিন মাতবরকে গ্রেফতার করলেও এখনো মূল ধর্ষণকারী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এনটি