আল খিদমত ফাউন্ডেশন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তইয়েবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সংগঠনটি এসকেবির মাধ্যমে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে উগ্রবাদের প্রচারণা ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করে আসছিল।
বুধবার (০৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় এনজিওটির অফিসে অভিযান চালিয়ে আনসার আর ইসলামের আট সদস্যকে আটক করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ৮টি সিপিইউ, ৮টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- সাফ ওয়ানুর রহমান (৩৪), সুলতান মাহমুদ (২৫), নজরুল ইসলাম (৩৮), আবু তাহের (৩৬), ইলিয়াস মৃধা (৩০), আশরাফুল আলম (২৪), হাসনাইন (৩০) ও কামরুল (২৮)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এসকেবি নামক এনজিও অফিসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের মতাদর্শের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এনজিও ভিত্তিক হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কের ছদ্মাবরনে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে উগ্রবাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিল। গত আগস্ট মাসে এনজিও ব্যুরো কর্তৃক জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যপরিচালনার অপরাধে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এনজিওটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
আটককৃতরা এনজিও কার্যক্রমের আড়ালে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিভিন্ন কৌশলে সরকারবিরোধী প্রচারণা, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও রোহিঙ্গাদের প্ররোচিত করে তারা দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় আনসার-আল-ইসলামের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করে আসছিল। এছাড়া তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে তাদের সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহের কাজ করতো।
এনজিওটি পাকিস্তান, তুরস্ক, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ইসলাম ভিত্তিক সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া দেশে-বিদেশে হিসাব বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদানের নামে অর্থ সংগ্রহ করে আসছিল বলেও জানান ডিসি মাসুদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
পিএম/ওএইচ/