রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালত ঘাতক বাসের দুই চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাসচালক মাসুম বিল্লার আইনজীবী হাসিম উদ্দিন বলেন, রায়ে আমরা অবশ্যই অসন্তুষ্ট। ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে এ রায়টি দেওয়া হয়েছে। রায়ের কাগজ পেলে বিষয়গুলো বুঝতে পারবো। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি উচ্চ আদালতে গেলে আমরা ন্যায়বিচার পাব।
‘দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই বাসস্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও ফ্লাইওভারের গোড়ায় ছাত্ররা জোর করে বাস থামাতো। সেদিনও সম্ভবত এমন কিছুই ঘটেছিল। যেখানে বাসের ড্রাইভার কোনোভাবেই দায়ী নয়। ’
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক বাসচালক জুবায়ের সুমনের আইনজীবী টিএম আসাদুল হক বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। অবশ্যই আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সাক্ষ্য-প্রমাণে বলা হয়েছে, আমার মক্কেল জুবায়ের সুমনের গাড়িটি চলমান ছিল। পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ি তার গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।
‘কিন্তু তার গাড়ি দ্বারা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আসামিকে যাবজ্জীবন দিতে হলে মৃত্যুর কারণ প্রমাণ করতে হয়। কিন্তু সুমনের গাড়ির দ্বারা কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি,’ যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষিতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দর সড়কে র্যাডিসন হোটেল সংলগ্ন সড়কে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়।
এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের (১৬) মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।
পরে ঘটনার দিন রাতেই নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
পিএম/এসএ