শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মধ্যডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ধর্ষক আমজাদের চাচা ও দাদীকে গ্রেফতার করেছে।
আবিদা সুলাতানা মীম উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মধ্যডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের মেয়ে। ধর্ষক আমজাদ হোসেন একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে আবিদা সুলতানা মীমকে কোথাও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে পরিবারের লোকজন। এ সময় মাইকিং ভ্যানের মধ্যে ধর্ষক আমজাদ হোসেনও বসেছিল। এদিকে ধর্ষকের চাচা শাহিনুর আলমের কথাবার্তায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
এছাড়া মীমের খেলার সাথী রাশেদুল ইসলামের ছেলে জিহাদ (৫) তার পরিবারকে জানায়, মীমসহ কযেকজন তারা খেলা করছিল। এসময় আমজাদ চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে মীমকে ঘরের ভেতরে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের দু’জনের কথার ভিত্তিতে মীমের পরিবার আমজাদের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ রাত ৯টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মীমকে উদ্ধার করে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
মীমের বাবা আরিফুল ইসলাম মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মীমের বাবা আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আমজাদ হোসেন, চাচা শাহিনুর আলম (৪০) ও দাদী মমিনা বেগমকে (৫৫) আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুপুরে শাহিনুর আলম ও দাদী মমিনা বেগমকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে। ঘাতক আমজাদকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
আরএ