সোমবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পল্টনের ইআরএফ কার্যালয়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসাকে সিন্ডিকেশন করে বাজারে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভ করার আশায় জনগণকে জিম্মি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করেন, ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জন করেন। কিন্তু সেটি জনগণকে জিম্মি করে নয়।
পৃথিবীর উন্নত বিশ্বে এ ধরনের সিন্ডিকেট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবসার অবশ্য একটি নীতিমালা আছে, একটি প্রফিট আছে, ব্যবসায়ীদের আমরা অবশ্যই সুযোগ করে দেবো। তারা লাভবান হোক কিন্তু জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করলে সেটি আমরা সহ্য করবো না।
তিনি আরও বলেন, পণ্য মানসম্মত হলে কারো সার্টিফিকেশনের দরকার নেই। তার জন্য চামড়া পণ্যকে মানসম্মত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। এটি একটি পুরনো শিল্প, এই শিল্পটিকে আমাদের দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় শিল্পখাত। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই এর অবস্থান। বর্তমানে সারাবিশ্বে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এ খাতে মাত্র এক দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। চামড়া খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের চামড়া শিল্প শতকরা ৬০ ভাগ মূল্য সংযোজন সম্ভব। তাই সরকার ২০২১ সালের মধ্যে চামড়া শিল্প খাতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
শিল্পসচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম দিলাল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. শাহীন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসএমএকে/এফএম