পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে।
সকাল থেকে পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।
খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, মজুরি কমিশন কার্যকর ও প্রতি সপ্তাহের মজুরি প্রতি সপ্তাহে দেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে গত ১৭ নভেম্বর ৬ দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাটকল শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। মজুরি ও বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে পারছে না তারা। খুলনা অঞ্চলের নয়টি পাটকলের প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের নয় থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই থেকে চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বার বার আশ্বাস দেওয়ার পরও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন কার্যকর করেনি। ফলে বাধ্য হয়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে ধর্মঘট চলাকালে পৃথক পৃথকভাবে মিল গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ সরদার, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন, প্লাটিনাম মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা সারমিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, খালিশপুর জুট মিল সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শেখসহ সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে শ্রমিকদের ১১ দফা বাস্তবায়নের জন্য বিজেএমসি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/