বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৪১ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে তিনি কথা বলেন।
৪১ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে, তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রদর্শন করেন।
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দূষণরোধ, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন, সমুদ্র সম্পদের সদ্ব্যবহার ও সুরক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং দুর্নীতি দমন, খাদ্যে ভেজালরোধ ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
প্রযুক্তির উদ্ভাবন দিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাকৃতিক এবং সমুদ্র সম্পদে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। তবে বর্তমানে সীতাকুণ্ড দূষণের শিকার। এ থেকে রক্ষা পেতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করে পাহাড় কাটার ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। শিপইয়ার্ড'র তেল দূষণের ঘটনা উদঘাটন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের মাদক, স্মার্টফোন ও বিভিন্ন ক্ষতিকর আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে নিয়মিত পড়াশুনা ও বিজ্ঞানচর্চা বাড়াতে হবে। নৈতিকতার সঙ্গে জীবন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
ঢাকার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শিক্ষা সফরের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মামুন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের জন্য ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এবং ১০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
আরকেআর/এএটি