ফেসবুকে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ চেয়ারম্যানের দাখিলকৃত অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ মামলা রেকর্ড করে আবেদ উকিলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অপর আসামি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, তারই ইউনিয়নের বাসিন্দা কলপুর গ্রামের জাহেদ উকিলের ছেলে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবেদ উকিল ও গান্ধিয়াশুর গ্রামের পবিত্র বিশ্বাস তাকে জড়িয়ে ফেজবুকের মেসেঞ্জারে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আবেদ উকিলের অত্যাচারে অতিষ্ট কলপুর গ্রামের মানুষ। তার ভয়ে বৌলতলী-ঘোনাপাড়া সড়ক রাতের বেলা নিরাপদ নয়। আবেদ উকিলের ছত্রছায়ায় কলপুর, সুরগ্রাম, রাউৎপাড়া এলাকায় দীর্ঘবছর ধরে চলে আসছে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আড্ডা। বৌলতলী এলাকায় কুমার মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের কাছ থেকেও আবেদ উকিল নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তার এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কলপুর গ্রামের আবেদ উকিল ও পবিত্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আবেদ উকিলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি পবিত্র বিশ্বাসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
আরএ