আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে রোগবালাই, বিশেষ করে শিশুদের ঠাণ্ডা ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এছাড়াও জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এছাড়া, শীতে কষ্ট পাচ্ছে নদীর তীরবর্তী উপকূলীয় মানুষ। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। শীত নিবারণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের।
শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও কেনা-বেচা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে খোলা বাজারের দোকানগুলোতে বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড়।
এদিকে শীতের কারণে মাঠে-ঘাটে ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না দিনমজুররা। গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে কোনোভাবে শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
রাতে ও ভোরে ঘনকুশায়ার কারণে নৌযান চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সড়ক পথেও একই সমস্যা। যানবাহনগুলোকে সতর্কভাবে চলতে দেখা গেছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. মাজাবুব রহমান বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়ছে, দু’দিন আগেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এখন ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমছে সেই সঙ্গে বাড়ছে শীত।
ভোলার সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নিত্যানন্দ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ মুহুর্তে খুব বেশী শীত পড়েনি, তাই এখনো শীতজনিত রোগীদের ভিড় বাড়েনি। তবে আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এফএম