শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ কালাই রুটি উৎসবের উদ্বোধন করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় এ উৎসবের আয়োজন করেছে আমরা চাঁপাইবাসী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। নানা উৎসব-আয়োজনে যোগ দিয়েছি। কিন্তু শুধুমাত্র একটি মাত্র খাবার নিয়ে এমন আয়োজন আমি প্রথম দেখলাম। যারা কালাই রুটি খেয়েছেন বা এর নাম শুনেছেন তারা প্রত্যেকেই এ আয়োজনের বিষয়ে আগ্রহী। আমার বেশকিছু বন্ধুও এ উৎসবে যোগ দিয়েছেন।
আয়োজকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও এলাকার বিশেষ খাবার বা বস্তুকে ভৌগোলিক স্বীকৃতি দেয়। আমি আয়োজকদের অনুরোধ করবো, দুই পাতার মধ্যে কালাই রুটির ইতিহাস ও উপাদান দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আমরা এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য করবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল। সভাপতিত্ব করেন আমরা চাঁপাইবাসীর সভাপতি জামিলুর রহমান।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় কালাই রুটি খাওয়ার আয়োজন। পেঁয়াজ-মরিচ, খাঁটি সরিষার তেলের ঝাঁজ মেশানো চাটনি আর বেগুনের ভর্তা দিয়ে কালাই রুটির রস আস্বাদন করেন অতিথি থেকে শুরু করে উপস্থিত সবাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল যাকে বলে দিয়াড়, সেখানকার নিম্নবিত্ত মানুষের খাবার কালাই রুটি। সকালে এটি দিয়ে লাহারি খাওয়া বা নাস্তা করা হয়। কালাই রুটির ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে গত তিন বছর ধরে আমরা চাঁপাইবাসী এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৬৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
ডিএন/আরবি/