ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত ‘অর্থ আদায়’, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
অতিরিক্ত ‘অর্থ আদায়’, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

মাদারীপুর: অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নিয়োগে দুর্নীতি, পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের আশ্বাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এসএসসির ফরম পূরণের জন্য অকৃতকার্য বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গোপনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ফরমপূরণ করে দিয়েছেন। এছাড়াও কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও আদায় করছেন বাড়তি অর্থ। অন্যদিকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিতে এবং সনদপত্র দেওয়ার সময়ও টাকা আদায় করে থাকেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

এসব অভিযোগসহ প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ ও নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ এনে সকালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভের ফলে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা শুরু হয়।

কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেন বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসি এবং তাদের অভিযোগ ও দাবিগুলো শুনি। এ ব্যাপারে শীঘ্রই আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠাই। শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
কেএআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।