ইতিহাস থেকে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ’৭১ সালের ৭ মার্চ পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যাপক হাসান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তোফাজ্জল হোসেনকে আহ্বায়ক ও ওমর ফারুক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়।
১২ মার্চ ঢাকা থেকে রংপুরগামী হানাদার বাহিনীরগাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্যে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। এতে হানাদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে কালীবাড়ী হাটের নিরীহ মানুষের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে গিরিধারীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান এবং দুইজন বাঙালি পুলিশসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেকে শহীদ হন এবং গিরিধারীপুরের রজব আলী নামে যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরদিন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পলাশবাড়ী আক্রমণ করে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ২৮ মার্চ দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২১ জন শহীদ হন।
পলাশবাড়ী থানা সদরের সড়ক ও জনপথের ডাক বাংলোয় হানাদারদের ক্যাম্পে (সিঅ্যান্ডবি) বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাযজ্ঞসহ গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে ধর্ষণ অব্যাহত রাখে। সে সময় পলাশবাড়ীতে ৬৫ জন সাহসী বীর সন্তান সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধচলাকালে ফরহাদ রব্বানীর ছেলে গোলাম রব্বানী, সাঁতারপাড়ার ইমান আলীর ছেলে আঞ্জু মণ্ডল, পবনাপুরের আব্দুল লতিফ, হেলাল উদ্দিন সরকারের ও আবুল কাশেম, আব্দুল করিম প্রধান সাঁতারপাড়াসহ ২৬ জন শহীদ হন। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো পলাশবাড়ীতেও মুক্তিযোদ্ধা ও পাক সেনাদের লড়াই অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে ৮ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে পলাশবাড়ী শক্র মুক্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এএটি