চীন সফররত শিল্পমন্ত্রী শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্স ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন বলেন, স্বল্প কার্বন নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, প্রতিবেশ সুরক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে। তিনি বিশ্বমানের শিল্প প্রযুক্তি ও প্রতিবেশগত নকশার আলোকে টেকসই শিল্পায়ন ও পরিবেশবান্ধব নগরায়নের লক্ষ্য অর্জনে এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে বাংলাদেশ পরিবেশ ও প্রতিবেশবান্ধব শিল্পায়ন কার্যক্রমের ধারা জোরদার করেছে। এ সম্মেলন পরিবেশ ও প্রতিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইকো-টাউনশিপ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে এগিয়ে নেবে। তিনি টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ ও জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলার পাশাপাশি নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) মহাপরিচালক লি ইয়াং, এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্ড্রিও মরলেট, রিকো ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানিং লিমিটেডের কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুমি হানাদা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউই) জয়েন্ট রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক ড. ফেব্রিস ম্যাথুয়াস বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, চীন সরকার ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) যৌথভাবে দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশকে ‘সম্মানিত অতিথি রাষ্ট্র’ এর মর্যাদা দেওয়া হয়।
সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশি ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শনীর পাশাপাশি নৃত্য, গানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্ত ও কারুশিল্প, ফ্যাশন ওয়্যার ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
জিসিজি/আরআইএস/