এক যুগ পর প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত ব্যয় ও সময় বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।
জানা যায়, ইসলামাবাদের ব্লক-৯ ও ১৫ সেক্টর জি-৫, ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভে ৭ হাজার ৭৬৮ দশমিক ২১ বর্গমিটার জমিতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর আগে কয়েকবার সময় বেড়েছে প্রকল্পের। সবশেষ ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পুনর্নিয়োগ, ভবনের নতুন সীমানা প্রাচীর ও ল্যান্ডস্কেপিং অঙ্গ অন্তর্ভুক্তকরণ, কিছু সংখ্যক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি, বিদ্যমান অংশের ব্যয় বৃদ্ধি, মিনি অডিটোরিয়াম তৈরি এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল দুই বছর বাড়াতে সংশোধনের জন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।
নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার। দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য স্থায়ী নিজস্ব ভবন কমপ্লেক্স নেই। বর্তমানে ভাড়াবাড়িতে দূতাবাসের কার্যক্রম চলছে। ২০০৩ সালে পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদ কূটনৈতিক জোনে বাংলাদেশ দূতাবাস নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়। ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশ হাইকমিশন জমির দখলভার নেয়। এসব কথা বিবেচনা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে। বর্তমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মিশনের প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান দেবোত্তম সান্যাল বাংলানিউজকে বলেন, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ কমপ্লেক্স চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের সময়-ব্যয় বাড়ছে। এজন্য প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের মঙ্গলবার প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু নতুন নতুন কাজ সংযোজন করা হবে।
প্রথমে প্রকল্পটি ২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০১০ সালের জুন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। পরে এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত হয়, তবে এই মেয়াদে ব্যয় বাড়েনি। দ্বিতীয়ধাপে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ে। এর পরে এক লাফে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে আরেকবার দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এর মধ্যেও কাজ শেষ না হওয়ায় তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ফের দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব উঠছে একনেকে।
প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরপরে ৫১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ে। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। এই টাকায়ও প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়নি। এখন শেষবারের মতো তৃতীয় সংশোধনীতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে প্রকল্পের একে একে ১২ বছর সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যয় বাড়ছে ৫০ কোটি ৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএস/একে