১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর সাঁথিয়ার তরুণ, ছাত্র সমাজ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। যুদ্ধ অনিবার্য এটা আঁচ করতে পেরে এলাকার ছাত্র যুবক ও তরুণরা সংগঠিত হতে থাকে।
২৭ মার্চ সাঁথিয়া পশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যুদ্ধকালীন কমান্ডার নিজাম উদ্দিন রাবির ছাত্রনেতা ফজলুল হক, মকবুল হোসেন মকুল, লোকমান হোসেন, রেজাউল করিম, আলতাব হোসেন, আবু মুসা, আবু হানিফ, মোসলেম উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল ওহাব, সোহরাব, রউফ, মতিনসহ যুব তরুণেরা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ নয়মাস সাঁথিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ শহীদ হন। এলাকার শত শত তরুণী ও নারী সম্ভ্রম হারান। সাঁথিয়ায় পাকসেনারা এলাকায় বহু লোকের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। ৮ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে থানা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে নন্দনপুরে পাক হানাদারদের সঙ্গে চূড়ান্ত মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়। মুক্তিযুদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
পরদিন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পাক হানাদাররা আবারও সাঁথিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্য আসতে থাকে। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র বাধার মুখে পাকসেনারা আবারও পিছু হটে চলে যায়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে বিজয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন। সাঁথিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনটি ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এএটি