এ নৌরুটে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি যাত্রীবাহী লঞ্চসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশ’ লঞ্চে কমপক্ষে ৫০ লাখ যাত্রী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। নৌ-চ্যানেলগুলোতে বয়া, বিকন বাতি কম থাকা এবং সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাইস্পিড কোম্পানির লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বাংলানিউজকে বলেন, নৌরুটগুলোতে নাব্যতা সংকট হলে সাধারণত লঞ্চের মাস্টার ও জাহাজগুলোর ক্যাপ্টেন বিআইডাব্লিউটিএ’র নৌ-সওজ বিভাগকে জানায়। পরে তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেন।
নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদরপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে ৪০টি। এছাড়া ষাটনল থেকে আজাদ বাজার, চাঁদপুর-হিজলা, চাঁদপুর-নন্দির বাজার, চাঁদপুর-মাদারীপুর, চাঁদপুর-মাওয়াসহ বেশকিছু ছোট-ছোট শাখা নদী রয়েছে এর সঙ্গে। বয়া ও বিকন বাতি না থাকায় মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। তবে শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক সময় চরে লঞ্চ আটক যায়। নদীতে জেগে ওঠা চর কিংবা চ্যানেল ঠিক রাখার জন্য খনন কাজ হেড অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরও বলেন, বয়া ও বিকন বাতিগুলো অনেক মূল্যবান। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা একটি বিকন বাতির দাম ৬০-৭০ হাজার টাকা। এসব বাতিগুলোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন- সোলার, ব্যাটারি ও বাতি চুরি হয়ে যায়। শুধু তাই নয় নদীতে বর্তমানে এতো বাল্কহেড চলছে যে এই বাল্কহেডের ধাক্কায় এসব বাতিসহ এর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি মাসেই প্রায় ৩০টি বয়া ও বিকন বাতি মেরামত করতে হয়। আমাদের স্থানীয়ভাবে মাত্র এক হাজার টাকা খরচ করার অনুমতি রয়েছে, এর বেশি খরচ করতে হলে হেড অফিসের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর নৌ-সীমানায় বর্তমানে বড় ধরনের কোনো চর জেগে ওঠেনি। তবে আমরা হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে একটি চর খনন করার জন্য ২০১৩ সালে প্রকল্প পাঠিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে সেই প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করে। কিন্তু এটি এখন পর্যন্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা ২০১৩ কিলোমিটার চর খননের জন্য প্রকল্প দিলেও এখন চর বড় হয়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে। এসব খনন কাজ অনেক ব্যয়বহুল। নিরাপদে নৌ-যান চলাচলের জন্য চ্যানেলগুলো ঠিক রাখতে বিআইডাব্লিউটিএর সওজ বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এনটি