ইসলামাবাদে ‘বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প’ নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এর নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর এই বিরক্ত প্রকাশের কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
সভায় মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় বার বার বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। অনেক প্রকল্পে বিদেশ সফর প্রয়োজন না, তবুও যাওয়া হচ্ছে। অনেক প্রকল্পে একই কাজে বার বার বিদেশ সফর করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এমন অহেতুক বিদেশ সফর চান না।
২০০৭ সালে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এত বছর পর এই ভবন নির্মাণে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মূল প্রকল্প থেকে অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ছে ৫০ কোটি ছয় লাখ টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ও তা শক্তিশালী করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানে নিজস্ব ভবন মিশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
এক যুগ পর প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয় একনেক সভায়।
বিদেশে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে সাধারণত তিন বার বিদেশ সফর করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আলাদা আলাদা টিম করে বিদেশ সফরে যান সংশ্লিষ্টরা। প্রথম টিম প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদেশ সফর করেন। দ্বিতীয় টিম চুক্তিসই ও তৃতীয় টিম বাস্তবায়ন কাজে বিদেশ সফর করেন। একই কাজে তিনবার পৃথক পৃথক টিম বিদেশ সফর না করে সমন্বিত একটি টিম যেন বিদেশ সফর করেন। একনেক সভায় এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমআইএস/টিএ