ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্মার্ট সিটি গড়তে বিকেন্দ্রীকরণের তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
স্মার্ট সিটি গড়তে বিকেন্দ্রীকরণের তাগিদ সভায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরকে ‘স্মার্ট সিটি’ তে পরিণত করতে হলে প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে নাগরিকসেবা পৌঁছে দিতে না পারলে স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নগর পরিকল্পনাবিদ এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। চায়না স্মার্ট সিটি এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড লেসন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনের কিংডম ইঞ্জিন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিং লিন জ্যাঙ এবং এ টি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইফতি ইসলাম।  

নিজ উপস্থাপনায় চীনের শহরগুলোকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন লিং লিন জ্যাঙ। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরে তার প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন লিন।  

তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে বাংলাদেশের মতো অবস্থা ছিল চায়নার। তবে এখন চীনের অনেক কিছু আছে যা বিশ্বের সঙ্গে বিনিময় করা যায়। আমরা বিনিময়ে আগ্রহী। আমরা আশা করি এর মাধ্যমে দুই পক্ষই লাভবান হতে পারি। তবে একেক শহরের জন্য স্মার্ট করার পদ্ধতি একেক রকম হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি শহরের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ডিজাইন করে আমরা কাজ করতে পারি। ফিনটেক নিয়ে ২০ বছরের বেশি এবং স্মার্ট সিটি নিয়ে ১০ বছরের বেশি সময় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের।  

সভায় ইফতি ইসলাম বলেন, শহর উন্নয়ন দিন দিন কঠিন হচ্ছে। একটা উদাহরণ দিয়ে বললে, ঢাকায় প্রায় ১২ হাজার সিসি ক্যামেরা রয়েছে যার অর্ধেক সিটি করপোরেশন এবং বাকি অর্ধেক পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। এরা আবার একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। অর্থ্যাৎ আমাদের ব্যবস্থাগুলো স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট সিটি নিয়ে কাজ করতে হলে স্মার্ট ইমাজিনেশন নিয়ে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে ঢাকাতে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে শহরের বাইরের মানুষগুলোর জীবনযাত্রার মান বাড়বে ফলে শহরের ওপর থেকে চাপ কমবে।  

বিভিন্ন উপস্থাপনা দেখে নিজ বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, স্মার্ট সিটি ঠিকমত পরিচালনা করতে হলে স্মার্ট গভর্নেন্স ব্যবস্থা প্রয়োজন। আর স্মার্ট গভর্নেন্স করতে হলে আমার মতে দরকার জেলা সরকার অর্থ্যাৎ ঢাকাকে বিকেন্দ্রী করতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়েও এর গুরুত্ব অনুধাবন করে। তবে যেকোন কারণেই হোক আমরা এখনো সেটি অর্জন করতে পারিনি। তবে আশা রাখি অদূর ভবিষ্যতে এমনটা হবে। আর হলেই বাস্তবায়ন হবে স্মার্ট সিটি।  

পিআরএই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন নীলফামারী পৌরসভার মেয়র কামাল আহমেদ, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিআরএই চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।