ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, সমরাস্ত্র-অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, সমরাস্ত্র-অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ। তখন সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদাতিক কুচকাওয়াজের পাশাপাশি এতে অংশগ্রহণকারী সুসজ্জিত যান্ত্রিক বহর এবং বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে ছিল অন্যতম আকর্ষণ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের বিজয় দিবসের কর্মসূচি।

সাড়ে ১০টা ২৮ মিনিটে জাতীয় প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

এর কিছুক্ষণ আগে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেই অভিবাদন মঞ্চে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিভিআইপি গ্যালারিতে নিজের আসন গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংএরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার করা হয়।

এরপর খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্যারেড পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি পুনরায় অভিবাদন মঞ্চে অবস্থান করলে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ।

অভিবাদন মঞ্চ থেকে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

প্যারেড গ্রাউন্ডে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের পাশাপাশি প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশ থেকেও রাষ্ট্রপতিকে সালাম দেওয়া হয়। প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশে আর্মি অ্যাভিয়েশন, নেভাল অ্যাভিয়েশন ও র‍্যাব অ্যাভিয়েশন মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট করে এবং আকাশ থেকে পতাকা নিয়ে ফ্রিফল জাম্প দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডে অবতরণ করেন প্যারা কমান্ডোরা।

পদাতিক কুচকাওয়াজের পর শুরু হয় বিভিন্ন যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী যান্ত্রিক বহরে সমরাস্ত্রের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।

কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সম্মিলিত যান্ত্রিক বহরে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন নয় আর্টিলারি বিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন খান।

যান্ত্রিক বহরের পরই শুরু হয় বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট এবং অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে।

বিমানবাহিনীর ফ্লাইপাস্টের নেতৃত্ব দেন এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সাঈদ হোসেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত চলে এ কুচকাওয়াজ।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংরাষ্ট্রপতির সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

ভিভিআইপি গ্যালারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও দেশি-বিদেশি অতিথিরা কুচকাওয়াজ উপভোগ করছেন।

প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নয় পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন ও উপ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।

এদিকে, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ব্যান্ড দলের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যান্ড কন্টিনজেন্ট এই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে।

কুচকাওয়াজ শেষে প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমইউএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।