শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদনে খিলক্ষেত থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মোফাখখারুল ইসলাম এমরান বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে বনানীগামী কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফ্লাইওভারে ফেলে রেখে যায়। তার পরনে ছিল চেক ট্রাউজার, ফুলহাতা শার্ট ও নীল রঙের জাম্পার। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই স্থানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। ফ্লাইওভারের সড়কবাতির অনেকগুলোই নষ্ট, যে স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি ছিল অন্ধকার।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পরপরই সিআইডি ক্রাইম সিনসহ পুলিশের অন্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ নেওয়াসহ মরদেহের ছবি তোলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অজ্ঞাত স্থানে দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য ফ্লাইওভারের অন্ধকার স্থানে ফেলে যায়। মরদেহ শনাক্তসহ হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এজেডএস/এফএম