রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাংঙ্গীপাড়া এলাকার আল-জামি’আহ আস সালাফিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বক্তা আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের নাতির বিরুদ্ধে মাদরাসার ৭ শিশু শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে এক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার রামিম ইসলাম রিফাত (১২) এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি।
অভিযুক্ত হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের মেঝ ছেলে ইসলামিক বক্তা আব্দুর রহমান। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে, এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
হাসপাতাল ও শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, কোরআনে হাফেজ করার স্বপ্ন নিয়ে ওই মাদ্রাসায় রিফাতকে ভর্তি করান পরিবার। কিন্তু গত ১৬ মার্চ ওই মাদ্রাসায় দুইজন শিক্ষার্থীর টাকা হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষের নাতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন রিফাত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করেন আব্দুর রহমান। এখন ওই শিশুটি রামেক হাসপাতালে অসহ্য ব্যথার যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি আছে।
রিফাতের বাবা মেরাজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, গত ১৬ মার্চ ওই মাদ্রসার টাকা হারানোর একটি ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে এবং ওই মাদ্রসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ দেয় আমার ছেলে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পাইপ দিয়ে বেপরোয়াভাবে মাদ্রাসার মধ্যেই পেটাতে থাকেন আব্দুর রহমান। কয়েকবার রিফাতের জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার পর তাদের খবর দেওয়া হয়। পরে তারা গুরুতর আহত রিফাতকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহিদুল আলম মাহির বলেন, সেদিন শুধু রামিমকে নয়। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আরও সাত ছাত্রকে শাসন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবা। পরে ওই অভিযোগটি আজ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ মামলাটি তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
এছাড়া মামলার এজাহারে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান শাহ মখদুম থানার ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
এসএস/এএটি