সিরাজগঞ্জ: প্রাইভেট না পড়ায় ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে প্রধান শিক্ষক আলী হাসান বিএসসির বিচার চেয়ে আহত স্কুলছাত্রীর বাবা মো. মজিবর রহমান তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. মাহিয়া রহমান শনিবার দুপুরে টিফিনের পর বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. আলী হাসান তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। প্রাইভেট না পড়ায় আগে থেকে মাহিয়ার ওপর আক্রোশ ছিল প্রধান শিক্ষক আলী হাসানের। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় চিকিৎসক এক্সরে করার পর বাম হাতের কব্জি উপরের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মো. আলী হাসান (বিএসসি) বলেন, শনিবার টিফিনের পর স্কুলছাত্রী মাহিয়া মোবাইল ফোনে কথা বলছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডেকে এনে মোবাইল ফোন জব্দ করি। পরে সে ফেরার পথে আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলে। বিষয়টি অন্য ছাত্রীদের মুখে শুনে তাকে অফিসে ডেকে স্টিলের পাইপ দিয়ে মেরেছি। তবে তার হাত ভাঙার মত কিছু ঘটেনি।
তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম জানান, স্কুলছাত্রী মাহিয়ার বাবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
আরএ