বরিশাল: ঈদ সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বরিশালে বিভিন্ন লঞ্চের কাউন্টারগুলোতে ভিড় ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের। ঈদের অগ্রিম টিকিট যাত্রীদের বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত লঞ্চ কর্মচারীরা। আগাম টিকিট পেতে গত ১২ এপ্রিল থেকে যাত্রীদের নামের স্লিপ নেয় বিভিন্ন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
সেই তালিকা ধরে এখন চলছে টিকিট বিক্রি। কিন্তু অগ্রিম টিকিটের জন্য নাম লিখে গেলেও না পাওয়ার অভিযোগ করেছন যাত্রীরা। স্বজনপ্রীতি, প্রভাবশালী আর কালোবাজারিদের হাতে টিকিট চলে গেছে বলে অভিযোগ তাদের।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির কাউন্টারে টিকিট নিতে আসা ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, জমা নেওয়া শুরুর দিনই স্লিপ রেখে গেছি এই কাউন্টারে। কিন্তু এখন এসে টিকিট পাচ্ছি না। অথচ দেখা যাবে যাত্রার সময় ঘাটে কিছু লোক দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি করতে চাইছে।
আতিকুর রহমান নামে একজন কর্মজীবী বলেন, কাছের মানুষদের টিকিট দিতেই হিমশিম খাচ্ছে কাউন্টারগুলো, সেখানে আমরা পাব কীভাবে। স্বজনপ্রীতির জন্য আমরা টিকিট পাচ্ছি না।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির টিকিট বুকিং অফিস ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লঞ্চের কেবিনের চেয়ে যাত্রী চাহিদা বেশি থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবাইকে তো টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। যারা পাচ্ছেন না তারা নানা অভিযোগ তুলছেন। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চের টিকিট নিয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নজরদারিও রয়েছে আমাদের।
স্বভাবিক সময়ে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ১৬টি লঞ্চ যাতায়াত করে। তবে ঈদের আগে ও পরে বিশেষ সার্ভিস চালু করে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এমএস/এমএমজেড