ঢাকা, সোমবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভুয়া মেজর সেজে দেড় কোটি টাকা ঋণ নেন রিজেন্টের সাহেদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
ভুয়া মেজর সেজে দেড় কোটি টাকা ঋণ নেন রিজেন্টের সাহেদ

ঢাকা: রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার দুটি ভুয়া এনআইডি পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে সাহেদকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, সাহেদ এনআরবি ব্যাংক থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এনআইডি ব্যবহার করে এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজরের ভুয়া পরিচয় দিয়ে ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকে মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তের স্বার্থে আমাদের যে আয়ু আছেন তিনি জেল গেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, দুদকে অভিযোগের প্রাথমিক ফাইন্ডিংস যা পাওয়া যায় এতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়। তদন্ত হওয়ার পরে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয় এটা যেভাবে আইন সাপোর্ট করে।

সচিব বলেন, আপাতত এখানে যা পাওয়া গেছে সেটি হলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি ভুয়া। ব্যাংকে যে তথ্য ও কাগজপত্র রয়েছে সেখানে মেজর লেখা আছে সেটি ভুয়া এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনে যে এনআইডি কার্ড ছিল সেটা তল্লাশি করে দেখা গেছে যে, উনার এই নামে একটি কার্ড লক করা এবং আরেকটি কার্ড ডুবলিকেট হিসাবে বাতিল করা হয়েছে। কাজেই প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে যে বিষয়টি জালিয়াতি এবং ভুয়া এনআইডি কার্ড ব্যবহার করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আসলে এনআইডি কার্ডটা একটি ইউনিক কার্ড। আমার একটি কার্ড আছে এই নামে, এ নামে আর কেউ থাকবে না। তিনি যে আইডি কার্ডটি এনআরবি ব্যাংকে ব্যবহার করেছেন সেটি ভুয়া তার দুটি কার্ডের মধ্যে একটি লক করা এবং একটি ডুপ্লিকেট। এর বাইরে আর কোনো কার্ড আছে কিনা এটা তদন্ত কালীন সময় বের হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, যদি বিধিবহির্ভূত কোনো কাজ হয়ে থাকে অবশ্যই সেটা দুদক দেখবে। শুধু এনআইডি না বিধিবহির্ভূত কোনো কাজ হয়ে থাকলে সেটি দুদক তদন্ত করবে।

এনবিআর ব্যাংক থেকে নথিপত্র সূত্রে দেখা গেছে, মো. সাহেদ কর্মজীবনের পরিচয়ের জায়গায় বর্ণনা দিয়েছেন তিনি ১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ২০০১ সালে মেজর হিসেবে অবসর নেন। ব্যাংকে সরবরাহ করা জাতীয় পরিচয় পত্রের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অর্থ্যাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল সম্পূর্ণ জাল।

এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ জুলাই মামলা করেছিল দুদক। যার তদন্তের দায়িত্ব পালন করছেন উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আর ওই সব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই সাহেদকে ১৯ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।