ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতুতে দৈনিক চলবে ৭৫ হাজার যানবাহন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
পদ্মা সেতুতে দৈনিক চলবে ৭৫ হাজার যানবাহন

ঢাকা: দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শনিবার (২৫ জুন)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

এরপর তিনি পদ্মা সতেুর উপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন এবং সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।  

স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ২১ জেলাকে সংযুক্ত করবে এ সেতু। উপকৃত হবে অন্তত তিন কোটি মানুষ। আর দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।

জনসাধারণের জন্য ২৬ জুন পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। জেনে নেওয়া যাক পদ্মা সেতুর খুঁটিনাটি তথ্য।

এক নজরে পদ্মা সেতু:

নির্মাণ কাজ শুরু- ৭ ডিসেম্বর ২০১৪। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে। সক্ষমতা দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন।

সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট (স্থলভাগে সেতুর অংশ)-সহ দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। প্রস্ত ২১ দশমিক ৬৫ মিটার। মোট পিলারের সংখ্যা ৪২। স্প্যানের সংখ্যা ৪১, প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। স্প্যানগুলোর মোট ওজন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৮ টন

প্রতিটি পিলারে নিচে পাইলের সংখ্যা ৬টি (কিছু কিছু পিলারে ৭টি পাইলও দেওয়া হয়েছে)। এদের ব্যাস ৩ মিটার, সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১২৮ মিটার। মোট পাইলের সংখ্যা: ২৬৪ (ভায়াডাক্টের পিলারের পাইলসহ ২৯৪টি)।

জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৯১৮ হেক্টর। ব্যবহৃত স্টিলের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা ১৮ মিটার। পদ্মা সেতুর আকৃতি ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো। ভূমিকম্প সহনশীলতা রিক্টার স্কেলের ৮ মাত্রার কম্পন। এপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। নদীশাসন হয়েছে ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার।

সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর। মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা।

ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে ২১টি জেরা। সরাসরি উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি জনগণ।

চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীগণ সেতু নির্মাণে কাজ করেছেন।

প্রকল্পের অঙ্গ-ভিত্তিক ব্যয় বিভাজন:

৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাস লাইনের ব্যয়সহ মূল সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা (বরাদ্দ ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)। নদীশাসন কাজে ৮ হাজার ৭০৬ দশমিক ৯১ কোটি টাকা (৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে) ব্যয় হয়েছে।

অ্যাপ্রোচ রোডে দুটি টোল প্লাজা, দুটি থানা বিল্ডিং ও তিনটি সার্ভিস এরিয়াসহ ১ হাজার ৮৯৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা (১ হাজার ৯০৭ দশমিক ৬৮ কোটি টাকার বিপরীতে) ব্যয় হয়েছে।

পুনর্বাসন ব্যয় ১ হাজার ১১৬ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা (১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকার বিপরীতে)। ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় ২ হাজার ৬৯৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। পরিবেশগত ব্যয় ২৬ দশমিক ৭২ কোটি (১২৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা)।

অন্যান্য বেতন ভাতা, পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা ইত্যাদি ব্যয় ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা (২ হাজার ৪০৯ দশমিক ৫৬ কোটি টাকার বিপরীতে)। প্রকল্পের মোট অনুমোদিত ব্যয় ২৭ হাজার ৭৩২ দশমিক ৮ কোটি টাকা (৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকার বিপরীতে)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ২৩ জুন, ২০২২
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।