ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফেরিঘাট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফেরিঘাট

বরগুনা : জেলার নদ-নদীগুলোয় জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে বরগুনার তিনটি ফেরিঘাট।

অপর তিন ঘাটের পন্টুন ডুবে গেছে। ভোগান্তি দেখা দিয়েছে যানবাহন চলাচলে। যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার দুটি ও বেতাগী উপজেলার একটি ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে যায়। বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদী ও বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে জেলার সব নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি এবং বেতাগী-কচুয়া ফেরিঘাট ডুবে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে এসব রুটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া এক যাত্রী জানান, ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী পারাপারেও বিরাট ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

হাবিবুর রহমান নামে কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক চালক জানান, তার বাহনে যে মালামাল আছে, ভিজে গেলে এসবের মলিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাই নদীর পানি না কমা পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে।

তিন ঘাট ডুবে যাওয়ায় যাত্রী পারাপারে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপর দিনটি ঘাটের পন্টুন ডুবে যাওয়ায় কোন দিন দিয়ে যানবাহন ওঠা নামা করবে, যা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

ফেরিঘাটের পাশের এক দোকানি জানান, বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকরা নিউজ করলেও কারও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পত্রিকা-টেলিভিশনগুলোয় স্থানীয়রা কয়েকবার সাক্ষাৎকার দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে মাজের চরসহ নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষ থেকে  এসব পরিস্থিতি নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ জনগণকে যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৪০ ঘণ্টা, ১৪ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।