লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ রোগী ও এলাকাবাসী।
রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে সরকার। বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ যোগদানের পর থেকে এ হাসপাতাল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সরকারি ওষুধ রোগীদের না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি, হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ৩০টি বড় বড় জীবন্ত মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন ডা. তৌফিক আহমেদ। এতেই শেষ নয়, টাকা ছাড়া কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। ঘুষ না পেয়ে দুইজন কর্মচারীর বেতন ভাতা ৮/১০ মাস বন্ধ রাখেন। যার প্রতিবাদ করায় হয়রানি করেন। এ কারণে সম্প্রতি হাসপাতালের ৭ জন কর্মচারী গণবদলির আবেদন করেন।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে নিয়োগকৃত ঠিকাদার দিয়ে চলছে রোগীদের নিম্নমানের পথ্য সরবরাহ। ভুয়া রোগী দেখিয়ে পথ্য ও ওষুধের বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তিনি। সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করা কর্মচারীদের বেতনে কোনো বাসাভাড়া না কেটে নিজে আত্মসাৎ করেন। কোটেশন দরপত্রের কাজে নিজের এলাকার বন্ধুদের দিয়ে এ হাসপাতালে কাজের নামে ডা. তৌফিক আহমেদ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে বক্তারা দাবি করেন।
চিকিৎসাসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে পড়ায় স্থানীয়রা ইতোপূর্বে গণপিটিশন দায়ের করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জে বদলির আদেশ আসে। যা টাকা আর ক্ষমতার বিনিময়ে বাতিল করে সপদে বহাল রয়েছেন তিনি। এতে আরও ফুসে উঠে সাধারণ রোগী ও এলাকাবাসী।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ডা. তৌফিক আহমেদের অপসারণ দাবি করে হাসপাতাল গেটে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। এসময় তার অপসারণ না করলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন বক্তরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- অলিয়ারুজ্জামান অলি, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের ছাত্র আকাশ, সাধারণ রোগী কাজলি বেগম, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
আরএ
