ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইউপি সচিবের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, ২ নারী গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
ইউপি সচিবের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, ২ নারী গ্রেফতার গ্রেফতাররা।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২০ নম্বর আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের (৩৩) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সচিব তিনজনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।  

গ্রেফতাররা হলেন- নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের খালেক দারোগা বাড়ির আক্তার হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল পৌরসভার দশঘরিয়া হাজী বাড়ির মাহাবুব রব্বানীর স্ত্রী সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)।   

মামলার অপর আসামি নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়নপুর এলাকার কাজী কলোনি সংলগ্ন রিফাত হাউজের ভাড়াটিয়া মো. নাঈমের স্ত্রী নুসরাত জাহান তিথি (২৬)। তিনি পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।  

পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং পারিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করে আসছে।  

পুলিশ আরও জানায়, একজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দেয়। পুলিশ অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়। ওই মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই নারী প্রতারককে বৃহস্পতিবার মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের থেকে মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন জনের অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, গত ৫-৬ বছর তারা কয়েকজন মিলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে আসছিলেন। পরে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।  

এ বিষয়ে জানতে ২০ নম্বর আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।   

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২

আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।