রাজশাহী: রাজশাহীতে কলেজছাত্রীকে উত্তক্ত্যের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন বাবা। আহত অবস্থায় মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বিচার চেয়ে এখনও ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের এ ঘটনায় বখাটেদের বিরুদ্ধে হামলার শিকার নীল মাধব শাহা থানায় থানায় ঘুরছেন।
মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা, মতিহার থানা বা রাজশাহী রেলওয়ের জিআরপি থানা মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নীল মাধব শাহা ও তার পরিবার।
নীল মাধব শাহার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকায়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কলেজে যাতায়াতের সময় প্রেমের প্রস্তাববসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এরফান খান মেরাজ (২২), সামদের ছেলে রুহুল আমিন সরকার প্রিন্স, আক্তারের ছেলে রবিন।
এ নিয়ে গত ১২ আগস্ট সকালে প্রতিবাদ করেন নীল মাধব। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওই বখাটেরা তাদের আরও ৪/৫ জন সহযোগী নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে নীল মাধব শাহার পার্লারে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে বখাটেরা। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেল সোনা মিঞার স্ত্রী বন্ধনা রানী শাহাকেও মারপিট করা হয়। পরে মাথায় ছুরিকাহত নীল মাধব শাহাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ১২টি সেলায় রয়েছে এখনো। তবে ওই ঘটনার পরে নীল মাধব শাহা মহানগরীর মতিহার, চন্দ্রিমা ও রাজশাহী জিআরপি থানায় ঘুরছেন মামলার আশায়। কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
নীল মাধব শাহা বলেন, হামলাকারীরা নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। এ কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তারা এজন্য কোনো আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না।
তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, এই ধরনের কোনো অভিযোগ তাদের জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এসএস