রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন শমশের মণ্ডলের মোড় এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত গৃহবধূর নাম পাপিয়া খাতুন (২৬)। তিনি মহানগরীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে রুমন রেজার স্ত্রী ও ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়,দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রুমন-পাপিয়া।
এই দম্পতির সংসারে নাভা নামের পাঁচ বছরের একটি শিশুকন্যা এবং দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে তারা শমশের মণ্ডলের মোড়ে বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপর থেকে থেকে সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। তবে কিছুদিন থেকে হঠাৎ তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। তাই পাপিয়ার কাছ থেকে আলাদা থাকতেন রুমন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে তালাকের নোটিশও পাঠান স্বামী রুমন। এরপর বুধবার সকালে পাপিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে চন্দ্রিমা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, পুলিশ গিয়ে প্রথমে মৃত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। নিহতের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। তবে এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। আর তালাকের নোটিশের বিষয়টি তারাও শুনেছেন। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হবে। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান- রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
ইআর
