ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হঠাৎ শীত, মেহেরপুরে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী

জুলফিকার আলী কানন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
হঠাৎ শীত, মেহেরপুরে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী

মেহেরপুর: গত কয়েকদিন যাবৎ মেহেরপুরে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। এদিকে হঠাৎ করেই শীতের আগমনে জেলার সব হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

একদিনেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে জেলায় প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক রোগী হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে। যা আগের তুলনায় কয়েকগুন বেশি। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫ শতাধিক রোগী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৩ জন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন।
শীতের শুরুতে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, জ্বর, শ্বাসনালী তন্ত্রের প্রদাহ, ফুসফুস, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোর শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ তুলনামূলক বেড়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।

মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (৩) সর্দিজ্বর হওয়ায় জতারপুর গ্রামের আছিয়া এসেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, দিনে গরম, আর রাতে ঠাণ্ডা লাগার কারণে মেয়ের জ্বর আর সর্দি হয়েছে। তিনদিন আগে এসেছি, এখন মোটামুটি সুস্থ। কালকে বাড়ি ফিরতে পারব।

সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের রাকিমন নেছা বলেন, কয়েকদিন ধরে ছেলে রুবেল হোসেনের ঠাণ্ডা লাগায় জ্বর হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছি। এখন মোটামুটি ভালোর দিকে।

গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আশারুল ইসলাম ছেলে শ্যামলকে (৬) হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।   তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে, ছেলের জ্বর হয়েছে। এছাড়া খুব কাশছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোখলেছুর রহমান বলেন শীতের শুরুতে শীত জনিত রোগের প্রকোপ একটু বাড়ে। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বেশি করে যত্নশীল হতে হবে। এছাড়া শিশুদের যেন ঘেমে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে মায়েদের বেশি করে নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের খুব গরমও না, শীতও না, নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে।

এছাড়া শিশুদের খাবার এবং খাবারের পাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং পচাবাসি খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।