ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা শিক্ষকদের হাতাহাতি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা শিক্ষকদের হাতাহাতি 

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলাকালে তার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষক। অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা জড়িয়েছেন হাতাহাতিতেও।

 

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান না করিয়ে শিক্ষকদের অবস্থানের ঘটনাটি এলাকায় সমালোচিত হয়েছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২১ এপ্রিল শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দেওয়া এ অভিযোগে ১০২ জন শিক্ষক সই করেন।

পরে সিলেট জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ অভিযোগ তদন্তের জন্য আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিসে আসেন।  

এ সময় আগের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগকারী শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অভিযোগের বিরোধিতাকারী আরও শতাধিক শিক্ষক সেখানে অবস্থান নেন।

ঘটনা চলাকালের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।  এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমীসহ আনসার-ভিডিপির সদস্যরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।  

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম সাদেক বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন আমার প্রয়োজন পড়বে, তাই আমি উপস্থিত হয়েছি, বাকিটা উনি জানেন’।  

আরেক শিক্ষক মেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অভিযোগটিতে আমাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাই আমি এসেছি’। তবে পাঠদান রেখে কেনে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।  

পাঠদান রেখে শিক্ষকরা কেন এখানে উপস্থিত হয়েছেন জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, অভিযোগের সত্য-সাক্ষ্য-প্রমাণের অংশ হিসেবে শিক্ষকরা এখানে এসেছেন।  

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।  

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, তদন্তের স্বার্থে নির্দেশনা অনুযায়ী যারা এসেছেন তো এসেছেনই। তবে প্রয়োজন ছাড়া যে শিক্ষকরা এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।