ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই-মাংস বিক্রি

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
মাদারীপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই-মাংস বিক্রি

মাদারীপুর: মাদারীপুর শহরের অন্যতম পশু জবাই ও মাংস বিক্রির স্থান দিন দিন অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। নোংরা পরিবেশে পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই।

তাছাড়া পশু জবাইয়ের ফলে আশপাশে চরম নোংরা পরিবেশ তৈরি হওয়ায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরান বাজারের পৌর মার্কেটের দক্ষিণ পাশে মাংস পট্টি ও পশু জবাইখানা অবস্থিত। চরম অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে এই মাংস বাজারটি বসে। মাংস বাজারের পাশেই পশু জবাই খানা। পশু জবাইয়ের পরে যে সব বর্জ্য তৈরি হয় তার সবই পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। পনের থেকে একমাসের মধ্যে একবার করে এইসব নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য অপসারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিদিনই পশু জবাই দেওয়ার কারণে অনেক বেশি পরিমাণে বর্জ্য স্তুপ আকারে জমা হয় এই মাংসের বাজারের পাশে। ফলে সাধারণ মানুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই ময়লা আবর্জনার স্তুপের পাশেই মাংস কিনতে যায়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা।

ক্রেতারা জানান, মাংসের বাজারে এতটোই দুর্গন্ধ যে- দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতেই দম বন্ধ হয়ে আসে। এ অবস্থার কারণে বাধ্য না হলে খুব বেশি মাংস বাজারে কেউ যান না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেখানে বেশি আসতে হয় সেদিকে পৌর কর্তৃপক্ষের বেশি নজর দেওয়া উচিত।  

ব্যবসায়ীরা জানান, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তেমন প্রতিকার হয়নি। প্রতিদিনই পশু জবাই করার কারণে আবর্জনা জমে থাকে। এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, পুরান বাজারের মাংস পট্টিতে পৌর নাগরিকরা প্রতিদিনই যায়। মাংস কেনা-কাটা করে। তাই পশু জবাই খানা ও মাংসের বাজারটাকে যাতে উন্নত মানের করা হয় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আমি সেই দাবি করছি। বিষয়টি আসলে ছোট হলেও অনেক গুরুত্ব বহন করে।

মাদারীপুর পৌরসভার সচিব খন্দকার ইলিয়াস আহমেদ ফিরোজ বলেন, আমরা পৌরসভা থেকে খুব শিগগরিই একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। যেখানে পুরান বাজারের গুরুত্বপূর্ণ মাংস পট্টি ও পশু জবাই খানাকে সংস্কার করা হবে। আশা করি দুর্ভোগ দূর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।