মুন্সীগঞ্জ: ককটেল বিস্ফোরণ ও অটোরিকশা ভাঙচুরের পৃথক ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি ও গজারিয়া থানায় বিএনপির ১৭৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতের এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা চারটি দায়ের হয়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীকে আসামি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বিল্লাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত জব্দ করেছে। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উপজেলার বেঁজগাঁও কবরস্থান মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছেন বেঁজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ। অজ্ঞাত ১০ জনকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে তিন ছাত্রকর্মী আহত ও অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সুমন প্রধান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মোমিন প্রধানকে প্রধান আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী এই তথ্য জানান।
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, উপজেলার দেউলভোগে ককটেল বিস্ফোরণ ও অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অটোরিকশার যাত্রী আলম হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আজগর রিপন মল্লিককে প্রধান আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতোয়ার রহমান বাবুল বলেন, বিএনপি ককটেল বিস্ফোরণ, মারামারি, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে না। আগামী ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ ঘিরে এসব মামলা পুলিশের সাজানো নাটক। মিথ্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে মূলত ঢাকার মহাসমাবেশে না যাওয়া জন্যই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
আরএইচ